বুধবার , ৪ঠা ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

জাতীয়

দীর্ঘ আট মাস বন্ধের পর ফের সার উৎপাদনে ফিরেছে সিইউএফএল

দীর্ঘ আট মাস বন্ধ থাকার পর উৎপাদনে ফিরেছে দেশের বৃহত্তম রাষ্ট্রীয় সার কারখানা চিটাগাং ইউরিয়া ফার্টিলাইজার লিমিটেড (সিইউএফএল)।

রবিবার (১৩ অক্টোবর) রাত ১টা থেকে চট্টগ্রাম আনোয়ারায় অবস্থিত রাষ্ট্রায়ত্ত এ কারখানাটিতে ইউরিয়া উৎপাদন শুরু হয় বলে জানান সিইউএফএল কর্তৃপক্ষ।

এর আগে চলতি বছরের ৭ ফেব্রুয়ারি যান্ত্রিক ত্রুটি ও গ্যাস সংকটের কারণে উৎপাদন বন্ধ হয়ে যায়৷ এতে ইউরিয়া সার ও অ্যামোনিয়া উৎপাদন ব্যাহত হয়ে ১৮৩৭ কোটি ৪২ লাখ ৮০ হাজার টাকা ক্ষতি হয়েছে।

জানা গেছে, বিসিআইসির নিয়ন্ত্রণাধীন এ কারখানায় প্রতিদিন গড়ে ১ হাজার ১০০ টন ইউরিয়া সার উৎপাদিত হয়। ইউরিয়া সারের বাইরে এই কারখানায় দৈনিক ৭০০ টন অ্যামোনিয়াও উৎপাদিত হয়। কারখানার উৎপাদিত এসব সার ২৫টির মতো জেলার চাহিদা অনুযায়ী সরবরাহ দেওয়া হয়। বিসিআইসির ডিলারদের মাধ্যমে প্রতি টন ইউরিয়া সার ২৫ হাজার টাকা করে বিক্রি করা হয়।

সে হিসাবে ইউরিয়া সার থেকে প্রতিদিন আয় হয় পৌনে তিন কোটি টাকা। আর প্রতি টন অ্যামোনিয়া ৫৪ হাজার টাকা করে মোট ৩ কোটি ৭৮ লাখ টাকার দৈনিক অ্যামোনিয়া উৎপাদন হয়। এই হিসাবে দিনে ৬ কোটি ৫৩ লাখ টাকার ইউরিয়া সার ও অ্যামোনিয়া উৎপাদিত হয়। রবিবার পর্যন্ত (১৩ অক্টোবর) ২৪৮ দিন কারখানাটি বন্ধ থাকায় মোট ৮৩৩ কোটি ২ লাখ ৮০ হাজার টাকার ইউরিয়া সার ও ১ হাজার ৪ কোটি ৪০ লাখ টাকার অ্যামোনিয়া উৎপাদন করা সম্ভব হয়নি।

সিইউএফএল সূত্রে জানা গেছে, যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে গত ৭ ফেব্রুয়ারি সিইউএফএল কারখানায় উৎপাদন বন্ধ হয়। কারখানা সচল অবস্থায় হঠাৎ গ্যাস সরবরাহ বন্ধ করে দেওয়ায় প্লান্টের রিসাইকেল সলিউশন পাম্পে ত্রুটি দেখা দেয়। পরে কারখানার জন্য আমেরিকা থেকে ৫ কোটি টাকার ২৮টি স্পেয়ার পার্টস ক্রয় করে কারখানায় লাগানো সহ বিভিন্ন কাজ সম্পন্ন করা হয়। তবে গ্যাসের জন্য উৎপাদনে যাওয়া সম্ভব হয়নি। চলতি মাসের ৩ অক্টোবর থেকে গ্যাস পাওয়া গেলেও যান্ত্রিক প্রক্রিয়া শেষে রবিবার রাত থেকে উৎপাদন শুরু হয়।

সিইউএফএলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মিজানুর রহমান বলেন, যান্ত্রিক ত্রুটি ও গ্যাস সংকটের কারণে কারখানায় ইউরিয়া ও অ্যামোনিয়া উৎপাদন আট মাস বন্ধ ছিল। রবিবার রাত ১টা থেকে ইউরিয়া উৎপাদন শুরু হয়েছে। আশা করছি, কারখানা এবার পুরোদমে চালু করা যাবে। তবে দীর্ঘদিন কারখানা বন্ধ থাকায় সার উৎপাদনে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।


সম্পর্কিত খবর