বুধবার , ৪ঠা ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

জাতীয়

‘ফ্যাসিবাদ বিরোধী ঐক্য’ বিক্ষোভ সমাবেশে আ. লীগকে নিষিদ্ধ ও পুলিশ সংস্কারের দাবি

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে আওয়ামী লীগ ও তার অঙ্গসংগঠনগুলোকে আজীবনের জন্য নিষিদ্ধ, পুলিশের সংস্কার, আওয়ামী লীগের আমলের সব নিয়োগ পুনর্নিরীক্ষণ, হামলাকারী আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের বিচারসহ ৬ দফা দাবিতে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে ‘ফ্যাসিবাদ বিরোধী ঐক্য’।

সোমবার (১৪ অক্টোবর) বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের সন্ত্রাসবিরোধী রাজু ভাস্কর্যের সামনে এই বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। প্লাটফর্মটির সাধারণ সম্পাদক রাফিদ ভুঁইয়া তাদের ৬ দফা দাবি তুলে ধরেন।

দাবিগুলো হলো:

১. পুলিশের সংস্কারকাজ পুরোদমে চালু করতে হবে। প্রয়োজনে নাম ও ড্রেসকোড পরিবর্তনসহ অন্যান্য ব্যবস্থা নিয়ে পুলিশকে জনগণের বন্ধু হিসেবে আবার প্রতিষ্ঠিত করতে হবে। এ কাজ দ্রুততম সময়ে সম্পন্ন করতে হবে। সংস্কারকাজের অংশ হিসেবে পুলিশের লোগো থেকে নৌকার ছবি সরাতে হবে।

২. আন্দোলন চলাকালে পুলিশ, র‍্যাবসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর যেসব সদস্য আন্দোলনকারীদের ওপর আক্রমণ করেছে তাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করতে হবে এবং দ্রুত বিচারের আওতায় আনতে হবে।

৩. আওয়ামী সরকারের আমলে নিয়োগপ্রাপ্ত সচিব উপসচিব-সহ কর্মকর্তাদের বহিষ্কার এবং চুক্তিভিত্তিক নিয়োগপ্রাপ্তদের চুক্তি বাতিল করতে হবে।

৪. আন্দোলনকালে বিশৃঙ্খলার অভিযোগে দায়েরকৃত সব মামলা প্রত্যাহার করতে হবে। এসব মামলায় যাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে, সবাইকে নিঃশর্ত মুক্তি দিতে হবে।

৫. আওয়ামী আমলে যেসব নিয়োগ প্রক্রিয়ায় এখনো নিয়োগ সম্পন্ন হয়নি কিন্তু গোয়েন্দা ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে- সেসব নিয়োগ প্রক্রিয়া বাতিল করে পুনরায় নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু করতে হবে। বিগত ১৫ বছরে, যত সরকারি নিয়োগ হয়েছে, সব পুনর্নিরীক্ষণ করতে হবে।

৬. আওয়ামী লীগ ও তার অঙ্গসংগঠনসমূহকে আজীবনের জন্য নিষিদ্ধ করতে হবে এবং এর নেতৃবৃন্দদের রাষ্ট্রদ্রোহী ও গণতন্ত্র পরিপন্থি কার্যক্রমের অভিযোগে বিচারের আওতায় নিয়ে আসতে হবে।

বিক্ষোভ সমাবেশে লেখক মোহাম্মদ ইসরাক আজিজ ফাহিম বলেন, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে বলা হয়েছে আন্দোলনকারী ছাত্র-জনতাকে যেন গ্রেপ্তার না করা হয়। এটা প্রজ্ঞাপন আকারে আসা উচিত। আগস্টের মাঝামাঝি সময়ে পুলিশের সাথে সংঘর্ষের মামলায় এখন গ্রেপ্তার করা হচ্ছে যা এই আন্দোলনের স্পিরিট ধরে রাখতে পারছে না। তাছাড়া, ফ্যাসিস্টদের বসানো রাষ্ট্রপতিকে এখনো অপসারণ করা হয়নি। আমরা দ্রুত তার অপসারণের দাবি জানাই।

আইন ও শৃঙ্খলা বিষয়ক সম্পাদক সাখাওয়াত জাকারিয়া বলেন, আমরা ছাত্র জনতার রক্তের বিনিময়ে এই বাংলাদেশ পেয়েছি। কিন্তু এখন দেখতে পাচ্ছি পুলিশ পুরোনো ফ্যাসিবাদকে ফেরানোর চেষ্টা করছে। মব জাস্টিসকে বৈধতা দিচ্ছে। পুলিশের ড্রেসটা এখন মানুষের কাছে আতঙ্কের হয়ে উঠেছে। দেশে শৃঙ্খলা আনতে পুলিশের প্রতি মানুষের আস্থা আনতে হবে এবং পুলিশকে সংস্কার করতে হবে।

এছাড়াও বিক্ষোভ কর্মসূচিতে ফ্যাসিবাদ বিরোধী ঐক্যের সাংগঠনিক সম্পাদক এস এম তানিম, দপ্তর সম্পাদক আবরার অহিন ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী সালমান সাজেদ প্রমুখ বক্তব্য প্রদান করেন।


সম্পর্কিত খবর