রকিব উদ্দিন রকি, রাঙামাটি প্রতিনিধি: খাগড়াছড়ির প্রদীপসহ সারা দেশে সাংবাদিক গ্রেফতারের প্রতিবাদ এবং গ্রেফতার সাংবাদিকদের অবিলম্বে নিঃশর্ত মুক্তি ও হয়রানিমূলক মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার দাবিতে রাঙামাটিতে প্রতীকী কর্মবিরতি কর্মসূচি পালন করেছেন স্থানীয় গণমাধ্যমকর্মীরা। এর আগে দেওয়া একাধিক মামলায় ২৫ অক্টোবর খাগড়াছড়ি সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি ও দৈনিক সমকালের জেলা প্রতিনিধি প্রদীপ চৌধুরীকে গ্রেফতার করে খাগড়াছড়ি পুলিশ।
ঘটনার প্রতিবাদে সোমবার সকাল ১১টায় শহরের বনরুপা অটোরিকশা স্টেশনে রাঙামাটি প্রেস ক্লাবের সভাপতি সাখাওয়াৎ হোসেন রুবেলের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত কর্মসূচিতে সংবাদপত্রসহ বিভিন্ন গণমাধ্যমে কর্মরত সাংবাদিকরা ঐক্যবদ্ধভাবে অংশ নেন। এ সময় বক্তব্য দেন স্থানীয় দৈনিক গিরিদর্পণ পত্রিকার সম্পাদক ও প্রকাশক প্রবীন সাংবাদিক একেএম মকছুদ আহমদ, রাঙামাটি প্রেস ক্লাবের সাবেক সভাপতি বর্ষীয়ান সাংবাদিক সুনীল কান্তি দে, রাঙামাটি রিপোর্টার্স ইউনিটির সভাপতি সুশীল প্রসাদ চাকমা, রাঙামাটি প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার-আল হক, সাবেক সভাপতি মো.শামসুল আলম, মো. ইলিয়াস, রাঙামাটি সাংবাদিক ফোরামের সভাপতি নন্দন দেবনাথ, সাংবাদিক সত্রং চাকমা, হিমেল চাকমা, সৈকত রঞ্জন চৌধুরী, হেফাজত-উল বারী সবুজ, ফাতেমা জান্নাত মুমু ও মিশু দে প্রমুখ। সার্বিক সহযোগিতায় ছিলেন,রাঙামাটি রিপোর্টার্স ইউনিটির সাধারণ সম্পাদক সাংবাদিক এম.কামাল উদ্দিন ও কর্মসূচি সঞ্চালনায় দায়িত্বে ছিলেন সাংবাদিক মনসুর আহমেদ।
বক্তারা অভিযোগ করে বলেন, প্রদীপ চৌধুরীর কোনো রকম অপরাধ ছিল না। তিনি সম্পূর্ণ নির্দোষ এবং কোনো রকম নৈরাজ্যে জড়িত নন। কিন্তু স্থানীয় কতিপয় চক্র আক্রোশ ও প্রতিহিংসার বশে প্রদীপ চৌধুরীকে হয়রানিমূলক মিথ্যা মামলায় জড়িয়ে গ্রেফতার করিয়েছে। এভাবে প্রদীপসহ সারা দেশে আক্রোশ ও প্রতিহিংসার কারণে জেল-জুলুমসহ নানাভাবে চরম নির্যাতন-নিপীড়নের শিকার হচ্ছেন সাংবাদিকরা।
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার উদ্ধৃতি উল্লেখ করে বক্তারা আরও বলেন, তিনি (স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা) সম্প্রতি বলেছিলেন কোনো সাংবাদিকের বিরুদ্ধে মামলা দেওয়া হলে পুলিশি তদন্ত প্রতিবেদনের আগে তাকে গ্রেফতার করা হবে না। কিন্তু খাগড়াছড়ির প্রদীপকে সেখানকার একাধিক মামলায় জড়ানো হলেও সেসব অভিযোগের কোনো রকম তদন্ত্র ছাড়াই তাকে পুলিশ গ্রেফতার করে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। আমরা এর তীব্র প্রতিবাদ ও নিন্দা জানাই। অবিলম্বে তার বিরুদ্ধে দেওয়া মিথ্যা ও হয়রানিমূলক মামলা প্রত্যাহারসহ সাংবাদিক প্রদীপ চৌধুরীকে নিঃশর্ত মুক্তি দিতে হবে এবং সারা দেশে গ্রেফতার সাংবাদিকদের নিঃশর্ত মুক্তিসহ তাদেও বিরুদ্ধে মিথ্যা ও হয়রানিমূলক মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানান বক্তারা।
এসব দাবিতে কর্মসূচি শেষে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা বরাবর একটি স্মারকলিপি জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে পাঠানো হয়েছে।