মিরসরাই (চট্টগ্রাম ) প্রতিনিধি : বিএনপি চেয়ারপার্সন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার গাড়ী বহরে হামলার ঘটনায় সাবেক গৃহায়ন ও গণপূর্তমন্ত্রী, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেনকে প্রধান আসামী করে মিরসরাই থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। মিরসরাই পৌরসভা বিএনপির সদস্য সচিব জাহিদ হোসাইন বাদী হয়ে ৫৯ জনের নাম উল্লেখ করে ও অজ্ঞাত ৬০-৭০ জনের নামে মামলা (নং-২২) দায়ের করেন।
মামলার এজাহারে জাহিদ হোসাইন উল্লেখ করেন, বিএনপি চেয়ারপার্সন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া ২০১৭ সালের ২৮ অক্টোবর দুপুর ১২টায় রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শনে যাওয়ার পথে ঢাকা- চট্টগ্রাম মহাসড়কের মিরসরাই উপজেলা সদরের ওচিমিয়া ব্রীজ এলাকায় স্বাগতম জানানোর জন্য উপজেলা বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের ১০০-১২০ জন নেতাকর্মী উপস্থিত হন। এসময় সাবেক গৃহায়ন ও গণপূর্তমন্ত্রী এবং বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হাসেন, সাবেক সংসদ সদস্য মাহবুব উর রহমান রহেলের হুকুমে চট্টগ্রাম উত্তর জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি তানভীর হোসেন চৌধুরী তপু, মিরসরাই পৌরসভার সাবেক কাউন্সিলর শাখের ইসলাম রাজু ও মিরসরাই পৌরসভার সাবেক মেয়র মো. গিয়াস উদ্দিনের নেতৃত্বে আওয়ামীলীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগের ৫৯ জন নেতাকর্মী ও অজ্ঞাত ৪০-৫০ জন সন্ত্রাসী লোহার রড, রামদা, কিরিচ ও লাঠিসোঠা নিয়ে আমাকে ও দলীয় নেতাকর্মীদের পিটিয়ে মারাত্মক জখম করে। এসময় তারা গাড়ী বহরে থাকা ৫-৭টি গাড়ির সামনের ও পেছনের গ্লাস ভেঙে আনুমানিক দুই লাখ পঞ্চাশ হাজার টাকার ক্ষতি করে। পরবর্তীতে বেলা পৌনে ১টায় দলীয় নেতাকর্মীদের নিয়ে আমরা মহাসড়কের ডাকবাংলো এলাকায় আওয়ামী লীগ নেতাদের প্রতিবন্ধকতা প্রতিরোধ করার জন্য অবস্থান নিলে যুবলীগের কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য নিয়াজ মোর্শেদ এলিটের নেতৃত্বে আসামীরা আমাদের নেতাকর্মী ও গাড়ীবহরে থাকা কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দের উপর পুনরায় হামলা করে। পরবর্তীতে দুপুরে আসামীরা লাঠি, দা, ছেনী সহ দেশীয় অস্ত্র নিয়ে আমার বাড়িতে গিয়ে ভাংচুর চালায়। এতে করে আমার প্রায় ২ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়। ওইদিন আসামীরা মিরসরাই পৌর বাজারে বিএনপি সমর্থিত ব্যবসায়ীদের দোকান-পাটে ভাংচুর ও তালা লাগিয়ে দেয়।
মিরসরাই থানার অফিসার ইনচার্জ আবদুল কাদের বলেন, বিএনপি চেয়ারপার্সন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া ২০১৭ সালের ২৮ অক্টোবর রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শনে যাওয়ার পথে গাড়ী বহরে হামলা ও ভাংচুরের ঘটনায় জাহিদ হোসাইন বাদী হয়ে ৫৯ জনের নাম উল্লেখ করে ও অজ্ঞাত ৬০-৭০ জনের নামে মামলা (নং-২২) দায়ের করেছেন। মামলার এজাহারনামীয় ১নং আসামী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন গত ২৭ অক্টোবর অন্য একটি মামলায় গ্রেফতার হয়ে বর্তমানে কারাগারে আছেন। আমরা তাঁকে এ মামলায় গ্রেফতার দেখাবো এবং মামলার অন্যান্য আসামীদেরও গ্রেফতারের জন্য অভিযান অব্যাহত রয়েছে।