শুক্রবার , ৬ই ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

কক্সবাজার

টেকনাফে অপহরণকারী চক্রের গ্যাং লিডার অস্ত্র-গোলা-বারুদসহ গ্রেফতার

মুহাম্মদ জুবাইর:
টেকনাফের বাহারছড়া উপকূলে দায়িত্বরত পুলিশ সদস্যরা পাহাড়ের পাদদেশের অস্ত্র ও গোলাবারুদ মওজুদের আস্তানায় অভিযান চালিয়ে দূধর্ষ ডাকাত দলের সদস্য এবং অর্ধডজন মামলার পলাতক, উপকূলে পাহাড় কেন্দ্রিক অপহরণ ও মুক্তিপণ আদায়কারী চক্রের গ্যাং লিডার বদরুজ ডাকাতকে বিপূল পরিমাণ আগ্নেয়াস্ত্র ও গোলাবারুদসহ গ্রেফতার করেছে।

১৭ নভেম্বর দুপুর ১টারদিকে টেকনাফ মডেল থানা হলরোমে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে টেকনাফ মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মুহাম্মদ গিয়াস উদ্দিনের সভাপতিত্বে এবং বাহারছড়া তদন্ত কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত তদন্ত কর্মকর্তা মোঃ দস্তগীর হোসেনের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, উপকূলীয় বাহারছড়া এবং হোয়াইক্যং ইউনিয়নে অপহরণ ও মুক্তিপণ আদায়ে নেতৃত্ব দানকারী অপহরণ, অস্ত্রসহ ৭টি মামলার ওয়ারেন্টভূক্ত পলাতক আসামী বাহারছড়া উত্তর শীলখালীর মরহুম মাওলানা সোলতান আহমদের পুত্র বদরুদ্দোজা ওরফে বদরুজ ডাকাতকে ভোররাত সোয়া ৪টারদিকে সাগরের ঝাউ বাগান হতে টেকনাফ মডেল থানা ও বাহারছড়া তদন্ত কেন্দ্রের পুলিশ যৌথ অভিযান চালিয়ে গ্রেফতার করে।

ধৃত বুদরুজ ডাকাত জিজ্ঞাসাবাদে জানায়, সে দীর্ঘদিন ধরে পাহাড়ে একটি ডাকাত চক্র তৈরী করে বাহারছড়া ও হোয়াইক্যং পাহাড়ি এলাকায় তার নেতৃত্বে গড়ে উঠা একটি অপহরণকারী চক্র মানুষ অপহরণ করে মুক্তিপণ আদায় করে আসছিল। এই বদরুজ ডাকাতের নেতৃত্বে বাহারছড়ায় ডাঃ জহির এবং হোয়াইক্যং থেকে ১১জন কৃষক অপহরণ করে মুক্তিপণ নিয়ে ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি করে। পুলিশ দীর্ঘদিন ধরে তাকে গ্রেফতার করার চেষ্টা করে আসলেও সে খুবই চালাক এবং ধূর্ত প্রকৃতির লোক ছিল। সে ঘন ঘন স্থান পরিবর্তন করায় তাকে গ্রেফতার এড়িয়ে থাকলেও অবশেষে পুলিশের জালেই ধরা পড়ল।

সে আরো জানায়, অপহরণ কাজে ব্যবহারের জন্য হোয়াইক্যংয়ের জনৈক গফুর থেকে থেকে অস্ত্র এনে শীলখালীর পাহাড়ি মোরায় ডাকাত জলিলের বাড়ির সামনে লাকড়ীর স্তুপের নিচে মজুদ করা আছে। অপহরণ করতে যাওয়ার সময় সেই লাকড়ীর স্তুপের নিচ থেকে এসব অস্ত্র বদরুজ এবং ডাকাত জলিল বের করে নিয়ে অপহরণ চক্রের সদস্যদের অস্ত্র হাতে ধরিয়ে দেই। পরে অতিরিক্ত ফোর্সের সহায়তায় ডাকাত জলিলের বাড়িতে অভিযান চালিয়ে বাড়ির লাকড়ীর স্তুপের নিচ থেকে ২ টি ওয়ান শুটার গান,১টি বন্দুক,৩রাউন্ড তাজা কার্তুজ, ২টি কিরিচ,১টি রাম দা ও ১টি চাইনিজ কোড়াল উদ্ধার করা হয়।

টেকনাফ মডেল থানার অফিসার্স ইনচার্জ মুহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন জানান,উদ্ধারকৃত অস্ত্রসহ ধৃত আসামীর বিরুদ্ধে বাহারছড়ার ইনচার্জ মোঃ দস্তগীর হোসেন অস্ত্র মামলার ১টি এজাহার দিয়েছেন। ধৃত আসামীর বিরুদ্ধে সর্বমোট ৭টি অস্ত্র ও ডাকাতি মামলা রয়েছে। আইনানুগ ব্যবস্থা পদক্ষেপ গ্রহণ প্রক্রিয়াধীন।


সম্পর্কিত খবর