বুধবার , ৪ঠা ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

খেলাধুলা

চলে গেলেন স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলের অধিনায়ক জাকারিয়া পিন্টু

চলে গেলেন স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলের অধিনায়ক জাকারিয়া পিন্টু
টেকনাফ ভিশন রিপোর্ট:

স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলের অধিনায়ক এবং বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দলের প্রথম অধিনায়ক কিংবদন্তি ফুটবলার জাকারিয়া পিন্টু ইন্তেকাল করেছেন। রাজধানীর ধানমণ্ডির একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আজ সকালে শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন কিংবদন্তি এই ফুটবলার। তার মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলের সহ-অধিনায়ক প্রতাপ শঙ্কর হাজরা।

জাকারিয়া পিন্টু দীর্ঘদিন যাবত নানা রোগে ভুগছিলেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৮১ বছর। তার মৃত্যুতে শোক জানিয়েছে বাফুফে ও বাংলাদেশ স্পোর্টস প্রেস অ্যাসোসিয়েশন (বিএসপিএ)।
কয়েক দিন ধরেই শরীরটা ভালো যাচ্ছিল না পিন্টুর। রবিবার অসুস্থতা আরও বেড়ে গেলে ধানমন্ডির একটি হাসপাতালে ভর্তি করানো হয় তাকে। পরে আজ শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেছেন।
প্রতাপ শংকর হাজরা বলেন, ‘পিন্টু ভাই গুরুতর অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন। তার হার্ট, কিডনি ও লিভারে সমস্যা দেখা দিয়েছিল। সকাল ১১টার দিকে মারা গেছেন তিনি।’
বাংলাদেশের স্বাধীনতাযুদ্ধ চলাকালীন ফুটবলের জাদু দিয়ে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে জনমত তৈরির কাজ করেছিল ‘স্বাধীন বাংলা ফুটবল দল’। সেই দলের অকুতোভয় অধিনায়ক ছিলেন জাকারিয়া পিন্টু। বাংলাদেশের স্বাধীনতার ইতিহাসে জাকারিয়া পিন্টু ও তার নেতৃত্বাধীন ‘স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলের’ নাম অবিস্মরণীয় হয়ে থাকবে চিরকাল। তবে শুধু স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলের হয়ে নন, একজন অসাধারণ ফুটবলার এবং অধিনায়ক হিসাবেও স্মরণীয় হয়ে থাকবেন সাবেক এই ডিফেন্ডার।
১৯৭১ সালে তার নেতৃত্বে স্বাধীন বাংলা ফুটবল দল ভারতের নদীয়াসহ বিভিন্ন রাজ্য ও জেলায় ১৬টি ম্যাচে অংশ নিয়ে ১২টিতে জিতেছিল। ওই ম্যাচগুলো খেলে যে অর্থ সংগ্রহ হয়েছিল, তা তৎকালীন মুক্তিযুদ্ধ তহবিলে দিয়েছিলেন তারা।
১৯৭২ সালের ১৩ ফেব্রুয়ারি ঢাকা স্টেডিয়ামে রাষ্ট্রপতি একাদশ ও মুজিবনগর একাদশের মধ্যে প্রথম ফুটবল ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয়। মুজিবনগর একাদশের অধিনায়ক ছিলেন এই ডিফেন্ডার। এ ছাড়া বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দলের প্রথম অধিনায়ক ছিলেন তিনি।
১৯৭৩ সালে মালয়েশিয়ায় অনুষ্ঠিত ১৯তম মারদেকা ফুটবলে বাংলাদেশ দলকে নেতৃত্ব দেন। স্বাধীন বাংলা ফুটবল দল, বাংলাদেশের প্রথম জাতীয় ফুটবল দলের অধিনায়ক এবং একজন দুর্দান্ত খেলোয়াড় হিসেবে তিনি ইতিহাস হয়ে আছেন। খেলোয়াড়ি জীবন শেষে সংগঠকও ছিলেন। ঐতিহ্যবাহী মোহামেডানের পরিচালক পদেও কাজ করেছেন সাবেক এই তারকা ফুটবলার।


সম্পর্কিত খবর