টেকনাফ পৌরসভার দুইটি পাড়ার ভূমিতে রোহিঙ্গাদের বসবাস বাড়ছে
মোঃ আশেক উল্লাহ ফারুকী,টেকনাফ :
টেকনাফ উপজেলা প্রশাসন সংলগ্ন এলাকায় দুই রোহিঙ্গা নাগরিকের বসবাস এবং ভূমি সহ কালোটাকার ব্যবসা নিয়ে এলাকায় তোলপাড় চলছে।স্থানীয় কতিপয় লোকের সহযগিতায় মিয়ানমারের দুই রোহিঙ্গা নাগরিক বাংলাদেশী নাগরিক পরিচয়ে স্বাধীনভাবে বসবাস করে আসছে দীর্ঘদিন থেকে। ওরা বাংলাদেশের ভূমির মালিক বনে ভবন ও একাধিক জায়গার মালিক ও বনে গেছে। পাশাপাশি ব্যবসা বানিজ্য ও চালিয়ে যাচ্ছে।পুরাতন রোহিঙ্গাদের সহযোগিতায় এর নিয়ন্ত্রণ চলছে। কোন ধরনের প্রতিবাদ ও বাধাঁ না থাকায় এ দুই ওয়ার্ডে রোহিঙ্গাদের বসবাস আশংকা জনকভাবে বাডতে শুরু করেছে। টেকনাফ পৌরসভার ১ নং ওয়ার্ড দক্ষিণ নাইটংপাড়া এবং ২ নং ওয়ার্ডের মিয়ানমার বংশদৌত জাবেদ ও ইউসুফ নামে দুই রোহিঙ্গা নাগরিক বাংলাদেশী জাতীয় পরিচয় (আইডি কার্ড) সৃজন করে পাঁচটি জায়গা মালিক বনে গিয়ে ওরা এখন বাংলাদেশী নাগরিক বনে গেছে।রাস্তার দু পাশে এবং ভিতরে ও খালের পাশে ভবন নির্মাণ করে ওরা এখন রাজার হালতে জীবন যাপন নিয়ে এলাকায় তোলপাড় চলছে। সূত্র জানায়,এরা মিয়ানমার রাখাইন রাজ্যের রোহিঙ্গা নাগরিক এবং নিষিদ্ধ ঘোষিত আরসা এবং আলয়েকিন সংগঠনের অর্থ যোগানদাতা। এর মধ্যে আলোচিত জাবেদ ইতিপূর্বে হ্নীলায় অনুপ্রবেশ করে স্থানীয় প্রভাবশালীর যোগসাজশে স্বর্ণের ব্যবসা করে সে এখন অডেল সম্পদের মালিক বনে যায়।পরিস্থিতি প্রতিকূল এবং কালের বিবর্তনেে সে এখানে বসবাস করে আসছে। অপর দিকে রোহিঙ্গা নাগরিক ইউসুফ বিগত দুই বছর আগে পুরাতন পল্লান পাড়া মায়মুনা স্কুলের উত্তর পূর্বে খালের উত্তরে জৈনেক আমীর সাহেবের পাশে ভবন তৈরি করে। এ সুযোগকে পুঁজি করে ওরা চোরাচালান,মাদক ব্যবসার সাথে জড়িত হয়ে পড়েছে। কথিত রোহিঙ্গা জাবেদ একাধিক ভূ সম্পদের মালিক বনে এবং অল্প সময়ে তার অর্থ সম্পদের আয়ের উৎস কোথায়? টেকনাফ স্টেশন নাফ পেট্রোল পাম্পের দক্ষিণে বিকাশের দোকান খুলে প্রতিদিন লাখ লাখ টাকার লেনদেন চলছে।এর সাথে নেপথ্যে চলছে হুডি ব্যবসা। এর বিনিময়ে মিয়ানমার থেকে আসছে মাদক এবং স্বর্ণের চালান। এবিষয়ে উপজেলা মাসিক আইন শৃংখলা কমিটির সভায় উত্থাপন করার জন্য এলাকাবাসী সাংবাদিকদের প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণ করেন।ওরা বিভিন্ন এজেন্সিকে মাসোয়ারা দিয়ে বসবাসকে নিশ্চিত করে রাখছে বলে একাধিক সূত্র জানায়। টেকনাফ পুরাতন পল্লান পাড়ার বিশিষ্ট ব্যাক্তি জহীর আহমদ এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন,অভিযুক্তরা চট্টগ্রাম থেকে আইডি কার্ড সৃজন করে এখানে বসবাস করছে এবং স্থল বন্দরে অবাধে ব্যবসা বানিজ্য করে আসছে। তবে তিনি রোহিঙ্গারা অবৈধ বসবাস সংক্রান্ত বিষয়ে এড়য়ে যান। সূত্র আরও জানায়, আলোচিত রোহিঙ্গা নাগরিকেরা ব্যবসার আড়ালে হুডি ও বিকাশ ব্যবসার মাধ্যমে বাংলা টাকা মিয়ানমার রাখাইন রাজ্যে কোটি কোটি টাকা পাচার হয়ে যাচ্ছে।
© ২০২৪ টেকনাফ ভিশন- সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
Copyright © 2024 Teknafvision.com. All rights reserved.