চট্টগ্রামে সরকারের বেঁধে দেয়া দামে ডিম বিক্রি করতে না পারায় গত দুদিন ধরে বন্ধ রয়েছে চট্টগ্রাম নগরীর অন্যতম পাহাড়তলী বাজারের ডিমের আড়ত। ফলে লাগামহীন ডিমের বাজারে সাধারণ মানুষের জীবনযাপনে চাপ আরো বাড়ছে।
সোমবার (১৪ অক্টোবর) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন পাহাড়তলী ডিম আড়তদার সমবায় সমিতির সাধারণ সম্পাদক আবদুল শুক্কর লিটন। তিনি দৈনিক আজাদীকে বলেন, সেপ্টেম্বর মাসে ডিমের দাম নির্ধারণ করে দেয় অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। কিন্তু সরকারের নির্দেশনার তোয়াক্কা না করে সরবরাহকারী মধ্যস্বত্বভোগী ও কর্পোরেট প্রতিষ্ঠানগুলো বাড়তি দামে ডিম সরবরাহ করছে।
এজন্য আমরাও বাড়তি দামে ডিম বিক্রি করতে বাধ্য হচ্ছি। কিন্তু এরমধ্যে সরকারের বেঁধে দেয়া দামে ডিম বিক্রি না করার কারণে আমাদের জরিমানা করা হচ্ছে। তাই বাধ্য হয়েই আমরা দোকান বন্ধ রেখেছি।
তিনি আরো জানান, রবিবার আমাদের ডিম কিনতে হয়েছে ১২ টাকা ৮০ পয়সায়। সরকার নির্ধারিত দাম ১১ টাকা ১ পয়সা। এছাড়া যাদের কাছ থেকে ডিম কিনছি তারা রসিদ দিচ্ছে না। হয়রানি থেকে বাঁচতে আজ (সোমবার) থেকে ডিম বিক্রি বন্ধ রেখেছি। যতক্ষণ পর্যন্ত সরবরাহকারীরা সরকারের নির্ধারিত মূল্যে ডিম সরবরাহ না করবে, আমাদের আড়তও ততদিন বন্ধ থাকবে।
এদিকে আড়তে ডিম বিক্রি বন্ধ থাকলেও খুচরা বিক্রেতারা এখনো ডিম বিক্রি করছেন। ডিমের দাম ভোক্তার ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে রাখতে গত সেপ্টেম্বরে আমদানির অনুমতি দেয় সরকার। এরপর দাম বেঁধে দেয়া হয়। তারই পরিপ্রেক্ষিতে খুচরায় ডিম বিক্রি হওয়ার কথা প্রতি পিস ১১ টাকা ৮৭ পয়সায়। তবে বাস্তবতা ভিন্ন। প্রতি পিস ডিমের জন্য ভোক্তাকে গুণতে হচ্ছে ১৫ টাকারও বেশি।
পাহাড়তলী পাইকারি বাজার যাচাই করে দেখা গেছে, গত ৮ দিন ধরে পাইকারিতেই প্রতিটি ডিম ১২ টাকা ৫০ পয়সার উপরে বিক্রি হয়েছে। সেখানে প্রতিটি ডিম গত ২৭ সেপ্টেম্বর ১২ টাকা ৫০ পয়সায়, ১ অক্টোবর ১২ টাকা ৭০ পয়সায়, ২ অক্টোবর ১২ টাকা ৬০ পয়সায়, ৩ অক্টোবর ১২ টাকা ৮০ পয়সায় এবং ৪ অক্টোবর ১২ টাকা ৯০ পয়সায় বিক্রি হয়েছে।
© ২০২৪ টেকনাফ ভিশন- সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
Copyright © 2024 Teknafvision.com. All rights reserved.