সীতাকুণ্ড উপজেলার বাড়বকুণ্ড ইউনিয়ন এলাকায় এক মন্দির সেবায়েতের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। নিহত সেবায়েতের নাম সুকুমার দাম (৮০)। পুলিশ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছে।
আজ সোমবার বেলা ১১টার দিকে বাড়বকুণ্ড ইউনিয়নের মধ্যম মাহমুদাবাদ মাস্টার বাড়ির সামনের একটি গাছ থেকে লাশটি উদ্ধার করে থানা পুলিশ।
নিহত সুকুমার দাম ঐ এলাকার মৃত ভারত চন্দ্র দাসের পুত্র। এছাড়া তাঁর নিজের প্রতিষ্ঠিত লোকনাথ মন্দিরে সেবায়েত হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন। এদিকে এ ঘটনাটি পরিকল্পিত হত্যা বলে দাবি করেছেন তার ছোট ছেলে ঝন্টু দাস।
এ ঘটনার তিনি রহস্য উদঘাটনের দাবি জানিয়েছেন। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সোমবার সকাল আনুমানিক ৬টার দিকে মধ্যম মাহমুদাবাদ গ্রামের মৃত ভারত চন্দ্র দাসের পুত্র লোকনাথ মন্দিরের সেবায়েত সুকুমার দাসকে তার মন্দিরের পাশের একটি গাছের সাথে গলায় রশি দেওয়া ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পান স্থানীয়রা।
এ সময় পরিবারকে খবর দিলে পরিবারের লোকজন ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন। এরপর সকাল ৯টার দিকে পুলিশকে খবর দেয়া হলে খবর পেয়ে পুলিশ সেখানে পৌঁছে নিহতের সুরতহাল তৈরী ও প্রাথমিক তদন্ত শেষে বেলা ১১টার দিকে লাশটি ময়নাতদন্তের জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করেন।
তবে এ নিহতের ঘটনাটি পরিকল্পিত হত্যা বলে দাবি করেছে নিহতের ছোট ছেলে ঝন্টু দাস। তিনি সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, ৮ শতক সম্পত্তি নিয়ে তার এক ভাইয়ের সাথে বাবার মামলা মোকদ্দমা চলছিলো। বাবা ঐ ভাইয়ের বিরুদ্ধে মামলাও দায়ের করেছিলেন। আর এই মামলা প্রত্যাহারের জন্য লোকজন নিয়ে বাবা ও তাকে চাপ দিয়েছে।
কিন্তু তিনি মামলা প্রত্যাহার করেননি। সুকুমার প্রতিদিন ভোরে ঘুম থেকে উঠে মন্দিরে যেতেন। ঠিক একইভাবে এদিন ভোরে উঠে তিনি চলে যান মন্দিরের উদ্দেশ্যে। পরে মন্দিরের পাশের একটি গাছের সাথে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখা যায় তার লাশ। গলায় ফাঁস দেওয়া অবস্থায় থাকলেও লাশের পা কিন্তু মাটিতেই লাগানো ছিলো। তার অন্যান্য লক্ষণ দেখে এটি পরিকল্পিত হত্যা বলে মনে করছেন বলে জানান ঝন্টুসহ একাধিক প্রতিবেশীরা।
তারা প্রকৃত ঘটনা উদঘাটনের দাবি জানিয়ে বলেন, সুকুমার ঘর থেকে বের হবার সময় টর্চ লাইট নিয়ে বের হয়ে মন্দির পরিচ্ছন্ন করেন। পরে পূজার জন্য পানি সংগ্রহ করে রাখেন। যদি আত্মহত্যা করার ইচ্ছা থাকতো তাহলে এসব করতেন না কখনো।
এ বিষয়ে সীতাকুণ্ড থানার ওসি মজিবুর রহমান বলেন, সুকুমার নামক ওই ব্যক্তির গলায় ফাঁস দিয়ে ঝুলন্ত অবস্থায় লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট হাতে পেলে ঘটনাটি হত্যা না আত্নহত্যা তখন নিশ্চিত হওয়া যাবে।
© ২০২৪ টেকনাফ ভিশন- সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
Copyright © 2024 Teknafvision.com. All rights reserved.