চট্টগ্রাম নগরীতে লাগামহীন দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে বাজার তদারকিতে সোচ্চার হয়েছে ছাত্র প্রতিনিধি, জেলা প্রশাসনের ম্যাজিস্ট্রেট, ভোক্তাধিকারের কর্মকর্তা, কৃষি বিপননসহ বিভিন্ন দপ্তরের প্রতিনিধি গঠিত টাস্কফোর্স কমিটি। খুচরা পর্যায়ে নয়, আগে পাইকারী বাজারে তদারকি না করার আহবান ব্যবসায়ীদের।
আজ মঙ্গলবার (১৫ অক্টোবর) নগরীর ২নং গেট এলাকার কর্ণফুলী মার্কেট বিশেষ টাস্কফোর্স কমিটি অভিযানে কৃষি বিপণন লাইসেন্স না থাকায় একটি ডিমের দোকানকে ৫ হাজার টাকা, মেয়াদোত্তীর্ণ খাদ্যপণ্য সংরক্ষণ করা, পণ্যের উপর মূল্য লিখা না থাকার অপরাধে খুলিলুর রহমানের মুদির দোকানকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
একই সাথে ওই বাজারের সবজির দোকান, মুরগি, মাংস, ডিম, অন্যান্য মুদির দোকানকে সতর্ক করা হয়।
জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মঈনুল হাসান জানান, জেলা প্রশাসকের নির্দেশনায় বাজার তদারকি করা হচ্ছে। আমাদের সর্বোচ্চ চেষ্টা রয়েছে কিভাবে দ্রব্যমূল্য নিযন্ত্রণ করা যায়। আমাদের সাথে শিক্ষার্থী প্রতিনিধি, ভোক্তাধিকার, কৃষি বিপনন, টাস্কফোর্স কমিটির সকল প্রতিনিধিরা হয়েছে।
গত তিন ধরে যৌথভাবে অভিযান পরিচালনা করছি। আজ কর্ণফুলী মার্কেটে বাজার তদারকি করেছি। অভিযানে কৃষি বিপনন লাইসেন্স না থাকায় একটি ডিমের দোকানকে, মেয়াদ উত্তীর্ণ পণ্য রাখা ও পণ্যে গায়ে মূ্ল্য উল্লেখ না থাকা এক মুদির দোকান ১০ হাজার টাকা জরিমানা করেছি।
পাশাপাশি ব্যবসায়ীদের ভবিষ্যতের জন্য সতর্ক করা হয়। এসময় বাজারের মাছের দোকান, মুরগি-মাংসের ও সবজির দোকান মুদির সামগ্রী দোকানগুলো সতর্ক করা হয়। মার্কেটের ব্যবসায়ী নেতারা আমাদের সাথে ছিলেন। বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগে আমরা যে প্রতিষ্ঠানগুলো জরিমানা ও সতর্ক করেছি সেসব প্রতিষ্ঠান বা মার্কেট আবার অনিয়ম হয় সেক্ষেত্রে আমরা কঠোর থেকে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।
এইটা একটা সম্মিলিত প্রচেষ্টা ভোক্তার ব্যবসায়ী সংবাদকর্মী সকলের কাছে থেকে সহযোগিতা চাই। আশা করি আমরা দ্রব্য নিয়ন্ত্রণে আনতে পারবো।
এদিকে বিশেষ টাস্কফোর্স কমিটির এমন অভিযানে ক্ষোভ প্রকাশ করেছে কর্ণফুলী মার্কেটে ব্যবসায়ীরা। তাদের দাবি পাইকারী পর্যায়ে অভিযান পরিচালনা না করে খুচরা পর্যায়ে জরিমানা আদায় করা যৌক্তিক নয়। পাইকার থেকে পণ্যগুলো ক্রয় করে মার্কেটে খুচরা বিক্রি করেন। রেয়াজউদ্দিন বাজারের পাইকারী দোকানগুলো বিক্রয় মূল্য উল্লেখ না থাকা পণ্য খুচরা দোকানদারের কাছে সরবরাহ করে সেগুলো খুচরা বিক্রেতা ক্রয় করে ভোক্তাদের কাছে বিক্রি করে।
পাইকারী দোকানগুলোতে অভিযান পরিচালনা করার জোর খুচরা ব্যবসায়ীদের।
অন্যদিকে ডিমের খুচরা ব্যবাসায়ীদের অভিযোগ কৃষি বিপনন লাইসেন্স রাখার ব্যাপারে তাদেরকে সংশ্লিষ্ট দপ্তর থেকে কোন সময় জানানো হয়নি। তাদের দাবি এসংক্রান্ত ২০১৮ সালের আইনে কৃষি বিপনন লাইসেন্স রাখার ব্যাপারে আগে কেন সতর্ক করা হলো না।
এ ব্যাপারে টাস্কফোর্স কমিটির দাবি, ব্যবসা করতে হলে কি কি লাইসেন্স লাগবে সেই ব্যবাসায়ীদের জানা থাকার দরকার। ব্যবসা পরিচালনা করতে সকল কাগজপত্র সংরক্ষণ করা ব্যবসায়ীদের দায়িত্বও বটে।
© ২০২৪ টেকনাফ ভিশন- সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
Copyright © 2024 Teknafvision.com. All rights reserved.