নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তীকালীন সরকার রাষ্ট্রীয়ভাবে বাতিল করছে জাতীয় শোক দিবস, শিশু দিবস ও ঐতিহাসিক ৭ মার্চসহ আটটি দিবস। গত সেপ্টেম্বরে উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সাম্প্রতিক প্রেক্ষাপট বিবেচনা করে সরকার এসব জাতীয় দিবস বাতিলের সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
এ নিয়ে ফেসবুকে কথা বলেছেন সোশ্যাল অ্যাক্টিভিস্ট ও লেখক পিনাকী ভট্টাচার্য। তিনি দুটি দিবসে জাতীয় ছুটির প্রস্তাব করেছেন।
ফেসবুকে পোস্টে পিনাকী লিখেছেন, 'বাতিল হচ্ছে আট জাতীয় ছুটি। আমি ১৫ আগষ্টের ছুটি চাই। ওইদিন হবে 'নাজাত দিবস'। বাকশালের জিঞ্জির থেকে জাতির মুক্তির দিবস। আর পাঁচই আগস্ট ফ্যাসিবাদ পতন দিবস বা মহান পলায়ন দিবস।'
এদিকে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, বাতিল হওয়া আটটি দিবসের মধ্যে পাঁচটিই শেখ হাসিনার পরিবারের সদস্যদের জন্ম ও মৃত্যু সংক্রান্ত। এর মধ্যে ১৭ মার্চ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্ম দিবস ও জাতীয় শিশু দিবস, ৫ আগস্ট শেখ হাসিনার ভাই শহীদ ক্যাপ্টেন শেখ কামালের জন্মবার্ষিকী, ৮ আগস্ট শেখ হাসিনার মা বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিবের জন্মবার্ষিকী, ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুর মৃত্যুবার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস, ১৮ অক্টোবর শেখ হাসিনার ছোট ভাই শেখ রাসেল দিবস।
এছাড়া বাতিলের তালিকায় রয়েছে ঐতিহাসিক ৭ মার্চ, ৪ নভেম্বর জাতীয় সংবিধান দিবস ও ১২ ডিসেম্বর স্মার্ট বাংলাদেশ দিবস।
© ২০২৪ টেকনাফ ভিশন- সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
Copyright © 2024 Teknafvision.com. All rights reserved.