ছাত্র-জনতার আন্দোলনের সময় আহাদুল ইসলাম নামে একজনকে গুলি ও মারধরের মাধ্যমে হত্যাচেষ্টার অভিযোগে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী এবং মানবাধিকার সংস্থা আইন ও সালিশ কেন্দ্রের চেয়ারপারসন জেড আই খান পান্নার বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে।
মামলার বিষয়ে একটি সংবাদমাধ্যমকে জেড আই খান পান্না বলেন, ‘একই সঙ্গে আনন্দিত, দুঃখিত। কিছুটা হতাশ, আমাকে ১ নম্বর না করে ৯৪ নম্বর আসামি কেন করা হলো। ঘটনাস্থল যেখানে দেখানো হয়েছে, সেই মেরাদিয়ায় আমি কখনও গেছি বলেও মনে হয় না।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমি সবসময় কোটার বিপক্ষে ছিলাম। এ জন্য আদালতে লড়েছি। আন্দোলনের সময় ছাত্রদের যখন ধরে নিয়ে যেত, তখন ছাত্রদের পক্ষ নিয়েছি। তখন বলেছি, ৭১ সালে বলত ঠক ঠক ঠক, মুক্তি আছে কি না, আর ২৪-এ বলছে ঠক ঠক ঠক ছাত্র আছে কি না। ছাত্রদের ডিবি ছেড়ে দেওয়ার বিষয়ে আমারও ভূমিকা ছিল। ছাত্ররা বের হয়ে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন শুরু করল এবং ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতন হলো। এর পর বিভিন্ন সময়ে উপদেষ্টাদের বিভিন্ন কর্মকাণ্ড নিয়ে সমালোচনা শুরু করেছিলাম। সমালোচনাটা অযৌক্তিক নয়। সমালোচনা সহ্য করতে না পারলে রাষ্ট্র পরিচালনায় থাকা উচিত নয়। যদিও সব রাষ্ট্রনায়ক, যারা ক্ষমতায় থাকেন তারা সমালোচনা সহ্য করতে পারেন না।’
মামলা সূত্রে জানা যায়, এই হত্যা চেষ্টা মামলায় পান্নাসহ ১৮০ জনকে আসামি করে খিলগাঁও থানায় মামলাটি করা হয়। গত ১৭ অক্টোবর মামলাটি করেন আহাদুলের বাবা মো. বাকের (৫২)।
মামলায় বিজিবির বর্তমান মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আশরাফুজ্জামান সিদ্দিকীকেও আসামি করা হয়েছে।
মামলার বিষয়ে খিলগাঁও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দাউদ হোসেন বলেন, আহাদুল ইসলামের বাবা মো. বাকের বাদী হয়ে মামলাটি করেছেন। মামলায় মানবাধিকার সংস্থা আইন ও সালিশ কেন্দ্রের চেয়ারপারসন জেড আই খান পান্নাসহ মোট ১৮০ জনকে আসামি করা হয়েছে। মামলাটি তদন্ত করে দেখছি আমরা।
© ২০২৪ টেকনাফ ভিশন- সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
Copyright © 2024 Teknafvision.com. All rights reserved.