নিজস্ব সংবাদদাতা:
অপ্রাপ্ত বয়স্ক এতিম শিশুকে বিয়ের নাটকে এলাকায় তোলপাড়। অভিযুক্ত ব্যক্তি রোহিঙ্গা নাগরিক ও স্থানীয় এক প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক বলে জানা যায়। ভিকটিম গোদার বিল এলাকার বাসিন্দা ও হ্নীলা এক বালিকা মাদরাসার ৮ম শ্রেণীর ছাত্রী মিকাত-১৩ (ছদ্মনাম) বলে জানা যায়। অভিযুক্ত ব্যক্তি টেকনাফ সদর ইউনিয়নের নতুন পল্লান পাড়ার বাসিন্দা মুজিবুর রহমান ওরফে নারী খুর মুজিব প্রঃ বার্মায়া মুজিব। সে ওই এলাকার বার্মায়া দুদু মিয়ার ছেলে। নিকট আত্মীয় স্বজনরা অনেকে সৌদির আরব, মালয়েশিয়া, অস্ট্রলিয়া সহ বিভিন্ন দেশে থাকায়। টাকার প্রলোভন দেখাইয়া পাতানো ফাঁদে ফেলে অনেক মেয়ের সম্ভ্রম কেড়ে নিয়েছে এই লম্পট মুজিব। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, অভিযুক্তের পিতা বার্মায়া দুদু মিয়া ও তার নিকট আত্মীয়স্বজনরা ককেয়বছর পুর্বে মিয়ানমার থেকে বাংলাদেশে স্বপরিবারে আসিয়া টেকনাফের নতুন পল্লান পাড়া এলাকায় বসতি স্থাপন করেন। সে সময় মুজিবুর রহমান মালয়েশিয়া ছিলেন। মালয়েশিয়া থেকে বাংলাদেশে ফিরে এসে এলাকার বিভিন্ন গণ্যমান্য ব্যক্তিদের সাথে সখ্যতা গড়ে তুলেন এবং বাংলাদেশী এনআইডি কার্ড তৈরি করে রাতারাতি বনে যায় বাংলাদেশীয় নাগরিক। সুন্দরী ও প্রবাসীর স্ত্রী কন্যাদের টার্গেট করে বিভিন্ন ভাবে ফুসলাইয়া নারীদের ভোগ করা এই লম্পট মুজিবের পেশা ও নিত্য রুটিনে পরিণত। তার এজাতীয় অহরহ অভিযোগের জনশ্রুত রয়েছে। অভিযুক্ত মুজিব হুন্ডির টাকার লেনদেনর বিষয়ে বিভিন্ন বাড়ী-ঘরে অবাধে যাতায়ত থাকার সুবাধে সুন্দরী. এতিম ও অসহায় নারীদের টার্গেট করে রুটিন অনৈতিক সম্পর্ক তৈরি করতেন বলেও জানা যায়। ইতিমধ্যে এসব অভিযোগের কারনে তাকে স্থানীয় সুফিয়া নূরিয়া দাখিল মাদরাসার নূরানী বিভাগের শিক্ষক পদ থেকে বহিস্কার করা হয়েছে বলেও জানা যায়।
ঘটনার বিষয়ে অভিযুক্ত মুজিবুর রহমানের কাছে জানতে চাহিলে ধর্ষনের অভিযোগ ভিত্তিহীন বলে দাবী করে বলেন তিনি অভিযোগকারী মহিলাকে ২য় স্ত্রী হিসেবে বিবাহ করেন। অপ্রাপ্ত বয়স্ক শিশুকে কিভাবে বিয়ে করেছেন জানতে চাহিলে কোন সদুত্তর না দিয়ে মোবাইল সংযোগ বিচ্চিন্ন করে দেন।
স্থানীয় একাধিক ব্যক্তি নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, এলাকার কতিপয় ব্যক্তিদের ম্যানেজ করে মোটা অংকের বিনিময়ে ধর্ষনের ঘটনা ধামাচাপা দিতে তদবির চালাচ্ছেন। এলাকার লোকজন আটক পূর্বক তার উচিৎ শাস্তির দাবী করেন।
নতুন পল্লানপাড়া সুফিয়া নূরিয়া দাখিল মাদরাসার সুপার মাওঃ নাছির উদ্দিনের কাছে অভিযুক্ত শিক্ষকের বিষয়ে জানতে চাহিলে বলেন মুজিব নুরানী বিভাগের সাবেক শিক্ষক। বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগে কয়েক মাস পূর্বে নুরানী বিভাগের শিক্ষক হতে কমিটি তাকে অব্যাহতি দেন বলেও জানান তিনি।