রকিব উদ্দিন রকি রাঙামাটি: প্রায় ২৪ দিন বন্ধ থাকার পর, ১ নভেম্বর থেকে রাঙামাটি জেলার পর্যটন শিল্প খুলে দেওয়া হচ্ছে। রাঙামাটি জেলা প্রশাসন বুধবার (৩০ অক্টোবর) দুপুর সাড়ে ১২টায় এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এই ঘোষণা দেন। জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মোশারফ হোসেন খান জানান, ৩১ অক্টোবর বৃহস্পতিবার পর্যটকদের জন্য নিরুৎসাহিত আদেশের মেয়াদ শেষ হচ্ছে। রাঙামাটি জেলার পর্যটন কেন্দ্রগুলো খুলে দেওয়া হচ্ছে পহেলা নভেম্বর থেকে।
প্রেস ব্রিফিংয়ে জেলা প্রশাসক জানান, গত ৮ অক্টোবর রাঙামাটি জেলা প্রশাসন এক নোটিশের মাধ্যমে রাঙামাটি জেলায় পর্যটকদের ভ্রমণে নিরুৎসাহিত করার আদেশ জারি করে। এর আগে রাঙামাটি ও খাগড়াছড়িতে সংঘটিত পাহাড়ি-বাঙালি সহিংসতা এবং অগ্নিসংযোগ-ভাঙচুরের ঘটনার পর অপ্রতিকর পরিস্থিতি এড়াতে জরুরি আইনশৃঙ্খলা সভার মাধ্যমে ২৪ সেপ্টেম্বর থেকে ২৭ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বাঘাইছড়ি ও সাজেক ভ্যালিতে পর্যটক ভ্রমণে না যাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়।
পরবর্তীতে পরিস্থিতির উন্নতি না হওয়ায় ২৭ সেপ্টেম্বর থেকে ৩০ সেপ্টেম্বর এবং ১ অক্টোবর থেকে ৩ অক্টোবর পর্যন্ত নিরুৎসাহিত করার সময়সীমা বাড়ানো হয়। সর্বশেষ, গত ৮ অক্টোবর থেকে ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত দীর্ঘ ২৪ দিন রাঙামাটি জেলার পর্যটক ভ্রমণের জন্য নিরুৎসাহিত আদেশ জারি করা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন, নেজারত ডেপুটি কালেক্টর এনডিসি মোঃ শামীম, আবাসিক হোটেল ও রেস্তোরার মালিক সমিতির নেতৃবৃন্দ, রিপোর্টার্স ইউনিটির সভাপতি সুশীল প্রসাদ চাকমা, প্রেস ক্লাবের সভাপতি সাখাওয়াৎ হোসেন রুবেল, সাংবাদিক ফোরামের সভাপতি নন্দন দেব নাথ, জার্নালিস্ট নেটওয়ার্কের সভাপতি শান্তিময় চাকমা এবং স্থানীয় প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক্স মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ।
বিভিন্ন সূত্র থেকে জানা যায়, দীর্ঘ এই নিষেধাজ্ঞার ফলে স্থানীয় পর্যটন খাতে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। পর্যটকশূন্য রাঙামাটির হোটেল ও রিসোর্টগুলো মারাত্মক আর্থিক সংকটের মুখোমুখি হয়েছে। ব্যবসায়ীরা বলছেন, এই সময়ে প্রায় অর্ধশত কোটি টাকা ক্ষতির মুখে পড়েছেন তারা।
রাঙামাটির পর্যটন মোটেল অ্যান্ড হলিডে কমপ্লেক্সের ব্যবস্থাপক আলোক বিকাশ চাকমা জানান, তারা আশা করছেন নিষেধাজ্ঞা উঠে গেলে পর্যটকদের আগমন বাড়বে এবং ক্ষতি পুষিয়ে ওঠা সম্ভব হবে।