সোমবার , ২৫শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

অপরাধ

ধারাবাহিক প্রতিবেদন-১ : টেকনাফে সাগর পথে মানব ও মাদক  পাচারের মহাধুম; নেতৃত্বে ইলিয়াস বাহিনী 

ধারাবাহিক প্রতিবেদন-১
টেকনাফে সাগর পথে মানব ও মাদক  পাচারের মহাধুম; নেতৃত্বে ইলিয়াস বাহিনী 
মোঃ আশেক উল্লাহ ফারুকী,টেকনাফ :

শীত মওসুম আগমনের সাথে সাথে সাগর পথে মালয়েশিয়ায় মানব পাচারের মহাধুম পড়েছে। অনুসন্ধানে জানা যায়,সাগর উপকূল ইউনিয়ন বাহারছড়া নোয়াখালী পাড়ার ইলিয়াস ও সোনামিয়া প্রকাশ বাঘা সোনামিয়া বাহিনীর নেতৃত্বে মালয়েশিয়ায় মানব পাচার, মিয়ানমার থেকে ইয়াবার চালান, অপহরণ,নিরীহ মানুষের জমি জবরদখল,অবৈধ অস্ত্রের ব্যবসার মধ্য দিয়ে চলছে ওদের রামরাজত্ব। ওদের অপকর্মের বিরুদ্ধে বিরুদ্ধে কৈউ ভয়ে অভিযোগ এবং তথ্য দিতে চায়না।ওদের সাথে আইন শৃংখলা বাহিনীর কতিপয় সদস্যের সাথে মাসিক মাসোয়ারা থাকায় অপকর্ম চলমান রয়েছে। এলাকার সচেতন নাগরিকদের দাবি ওদেরকে আইনের আওতায় আনতে না পারলে এ জনপদে ওসব অপকর্ম নিয়ন্ত্রণ করা যাবেনা। এ তথ্য এলাকায় জনশ্রুতি থাকার পরও সরকারি বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থা কেন? নীরব তা নিয়ে পুরো এলাকায় তোলপাড় চলছে। এদিকে টেকনাফ সদর ইউনিয়নের রাজারছড়ার জাকির এবং হাবিরছড়ার আব্দুল আমিন এ দুই শীর্ষ ডাকাত,ও মানব পাচারকারীর সিন্ডিকেটের মধ্যমে সাগর পথে মানব পাচার চলছে বেপরোয়াভাবে। মানব পাচারের শিকার বেশীরভাগ মিয়ানমারের রোহিঙ্গা নাগরিক নারী ও পুরুষ। জাতীয় পরিচয় পত্র  (আইডি কার্ড) চালু হওয়ার পর এবং মিয়ানমারের আরাকান (রাখাইন)রাজ্যে সামরিক জান্তার নির্যাতন ও নিপীড়নের মূখে রোহিঙ্গারা দলে দলে বাংলাদেশের উখিয়া ও টেকনাফ সীমান্ত উপজেলায় আশ্রয় নেয়। বিশেষ করে ২০১৭ সালে প্রায় ১২ লাখ রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ করে এবং এ দুই  উপজেলায় ৩৪টি ক্যাম্পে বসবাস করে আসছে। অধিকাংশ রোহিঙ্গা ক্যাম্প পাহাড় সংলগ্ন। বাহারছড়া সাগর ও পাহাড় সংলগ্ন ইউনিয়ন। ভৌগোলিক এবং পরিবেশ দিক থেকে সাগর পথে মানব পাচার সুবিধাজনক। এ অবস্থায়     বাহারছড়া সাগর উপকূল মানব পাচার অরক্ষিত হয়ে এটি এখন নৌ বন্দরে পরিনত হয়েছে। এ জনপদে অর্ধ শতাবদিক ছোট বড় দালাল মানব এবং মাদক পাচারের সাথে জড়িত থাকলেও অধরা থেকেই যাচ্ছে ওরা। মানব পাচার বিরোধী অভিযান চলমান থাকার পর ও এটি এখনো নিয়ন্ত্রণে আসেনী।শীত মওসুমের শুরুতে দালালেরা পাচারে রোহিঙ্গাদের জড়ো করছে। অতি সমপ্রতি বাহারছড়া কচছফিয়া পয়েন্ট দিয়ে সাগর পথে মালয়েশিয়ায় মানব পাচার প্রস্তুতিকালে দুই দালাল সহ ৩১ জন রোহিঙ্গা নারী ও পুরুষ র‍্যাব-১৫ জালে আটক করা হয়। এরা বিভিন্ন রোহিঙ্গা ক্যাম্পের বসবাসকারী। এছাড়াও আইন শৃংখলা বাহিনীর অগোচরে সাগর পথে মানব পাচার চলমান রয়েছে। সূত্র মতে বাহারছড়া ইউনিয়নের নোয়াখালী পাড়া, কচছফিয়া, শীলখালী ও শামলাপুর সাগরে উপকূলীয় এলাকার বিভিন্ন মৎস্য ঘাট দিয়ে প্রতিনিয়তই মানব পাচার করে আসছে। মানব পাচার ও মাদক পাচারের আধিপত্যের জেরে দুই মানব পাচারকারীর মধ্যে গুলাগুলির ঘটনা ঘটে। যা নিয়ে সাগর উপকূলের মানুষের মধ্যে আতংক ও হতাশা বিরাজ করছে। পাহাড়ি এলাকায় মানব পাচারের পাশাপাশি অপহরণকারী সোনালী গ্রুপ নামে একটি সিন্ডিকেট ুুএর সাথে জড়িত হয়ে পড়েছে। সূত্র আরও জানায় বাহারছড়া নোয়াখালী পাড়া ও কচছফিয়ায় এলাকায় অসংখ্য দালাল এ কাজে জড়িত হয়ে পড়েছে। ওদের নাম ভুক্তভোগীর মুখে মুখে শুনা গেলেও কেন? আইন শৃংখলা বাহিনীর নজরে আসছেনা তা নিয়ে সচেতন নাগরিকদের মধ্যে রীতিমতো প্রশ্ন উঠেছে। টেকনাফ মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ এর দায়িত্বে নিয়োজিত তদন্ত কর্মকর্তা জানান মানব পাচার ও মাদক পাচার রোধে নিয়মিত অভিযান চলমান রয়েছে। অতীতে বেশ কিছু মানব পাচারকারী দালাল ও মানব পাচারের শিকার রোহিঙ্গাদের আটক করা হয়েছে। তবে এই মুহূর্তে সংখ্যা বলা যাচ্ছেনা।ব্যস্ততার কারণে পরে দেখে বলতে হবে। বাহারছড়া ইউপি চেয়ারম্যান আমজাদ হোসেন খোকন এর ফোনে যোগাযোগ করলে তার ফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়। ফলে তার বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি। 

চলবে ——


সম্পর্কিত খবর