টেকনাফে আব্দুর রহমান হত্যাকান্ডের মূল পরিকল্পনাকরী ১৬টি মামলার আসামী বদি গ্রেফতার
টেকনাফ ভিশন ডেস্ক :
টেকনাফে নৃশংসভাবে ছুরিকাঘাতে চাঞ্চল্যকর আব্দুর রহমান হত্যাকান্ডের মূল পরিকল্পনাকরী এবং হত্যা, ডাকাতি প্রস্তুতি, অস্ত্র ও মাদকসহ ১৬টি মামলার আসামী বদি আলম প্রকাশ বদি’কে কক্সবাজারের ঈদগাঁও থানাধীন পূর্ব নাপিতখালী এলাকা থেকে গ্রেফতার করেছে র্যাব-১৫। র্যাব-১৫ কক্সবাজার অফিসের
সিনিয়র সহকারী পরিচালক (ল’ এন্ড মিডিয়া অফিসার)
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোঃ কামরুজ্জামান, পিপিএম (সেবা) সংবাদের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান
গত ১৭ নভেম্বর রাতে কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলার হোয়াইক্যং ইউনিয়নের নয়াবাজার পূর্ব সাতঘরিয়া পাড়া বটগাছতলা এলাকায় ইয়াবা লেনদেনকে কেন্দ্র করে আব্দুর রহমান নামে এক ব্যক্তি সন্ত্রাসীদের মধ্যযোগীয় বর্বর কায়দায় নির্যাতনে নিহত হয়।
ঘটনার দিন অর্থাৎ ১৭ নভেম্বর ভিকটিম আব্দুর রহমান ও তার প্রতিপক্ষ ইয়াবা কারবারীদের সাথে ইয়াবা লেনদেনকে কেন্দ্র করে প্রকাশ্য দিবালোকে বাজারে বাক-বিতন্ডার সৃষ্টি হয়। ঘটনার মূল পরিকল্পনাকারী বদি আলম প্রকাশ বদি তার হাতে থাকা ধারালো ছুরি দিয়ে খুনের উদ্দেশ্যে অত্যন্ত পাশবিক ও বর্বরোচিত কায়দায় ভিকটিমকে সজোরে আঘাত করে গুরুতর গভীর রক্তাক্ত কাটা জখম করে এবং তার সাথে থাকা অন্যান্য আসামীদের মধ্যে একজন গুলি করে। ঘটনাটি বিভিন্ন পত্র পত্রিকায় প্রকাশিত হলে কক্সবাজারসহ সারাদেশে ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়। উক্ত হত্যাকান্ডের পর থেকেই জড়িত আসামিদের গ্রেফতারের লক্ষে র্যাব ১৫ ব্যাপক গোয়েন্দা কার্যক্রম বৃদ্ধি করে ।
এরই ধারাবাহিকতায়, র্যাব-১৫, কক্সবাজার গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারে, এই হত্যাকান্ডের মূল পরিকল্পনাকারী বদি আলম প্রকাশ বদি কক্সবাজারের ঈদগাঁও থানাধীন পূর্ব নাপিতখালী এলাকায় আত্নগোপনে অবস্থান করছে। প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে ৬ ডিসেম্বর ভোর রাতে র্যাব-১৫ সদর ব্যাটালিয়নের একটি চৌকস আভিযানিক দল অভিযান পরিচালনা করে
টেকনাফ উপজেলার হোয়াইক্যং ইউনিয়ন ৭নং ওয়ার্ড
পশ্চিম সাতঘরিয়া পাড়ার নজির আহমদ”র ছেলে বদি আলম প্রকাশ বদি(৪০)কে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়। রেকর্ডপত্র যাচাইন্তে তার বিরুদ্ধে টেকনাফ মডেল থানায় ৩টি হত্যা, ৫টি অস্ত্র, ৬টি মাদক, ১টি ডাকাতি প্রস্তুতি ও ১টি অন্যান্য মামলা’সহ মোট ১৬টি মামলার তথ্য পাওয়া যায়।
গ্রেফতারকৃত আসামি সংক্রান্তে পরবর্তী আইনি কার্যক্রম সম্পন্ন করার জন্য কক্সবাজারের টেকনাফ মডেল থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে বলেও জানান অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোঃ কামরুজ্জামান, পিপিএম (সেবা)।