শুক্রবার , ২৭শে ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

টেকনাফ

বিজিবি” র অভিযানে গরু আটকের জের: টেকনাফে গৃহপালিত গরু দাবি করে ৩ ঘন্টা সড়ক অবরোধ

বিজিবি” র অভিযানে গরু আটকের জের:
টেকনাফে গৃহপালিত গরু দাবি করে ৩ ঘন্টা সড়ক অবরোধ

হোয়াইক্যং প্রতিনিধি :

টেকনাফে বিজিবি সদস্যরা অভিযান চালিয়ে গরু আটকের জেরে সড়ক অবরোধ করে স্হানীয় ভুক্তভোগী লোকজন। সোমবার (২৩ ডিসেম্বর) সকাল ১০ টা থেকে দুপুর ১ টা পর্যন্ত টেকনাফের হোয়াইক্যং বাজারে এই অবরোধ করেছেন তারা।
গৃহপালিত গরু জানিয়ে অবিলম্বে ফেরতের দাবি করে ভুক্তভোগী পরিবারের সদস্যরা কক্সবাজার-টেকনাফ সড়ক অবরোধ করেন।এতে সড়কে শত শত গাড়ি ৩ ঘন্টা পর্যন্ত আটকা পড়লে,পরে সমঝোতার মাধ্যমে অবরোধ তুলে নেওয়া হয়েছে।
ভুক্তভোগী জসিম উদ্দিন বলেন,গত রবিবার ১৫ ডিসেম্বর হোয়াইক্যং বিজিবি ক্যাম্পের সদস্যরা আমার সহ মোট ৪ টি গৃহপালিত গরু জমিনে খাবার খাওয়ার জন্য ছেড়ে দিলে সেগুলো বেরি বাঁধ এলাকার দিকে যায়।পরে বিজিবি’র সদস্যরা গরু গুলো আটক করে ক্যাম্পে নেওয়ার পরে কাস্টমস অফিসে জমা করে দেন।

এ ঘটনার পরে বিজিবির সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে বিজিবি’র পক্ষ থেকে বলা হয় গরু গুলো টেকনাফ কাস্টমস অফিসে জমা করা হয়েছে।পরে সেখানেও যোগাযোগ করলে গরু ছাড়িয়ে নিতে কাস্টমস অফিস আমাদের কাছ থেকে দুই লাখ টাকা দাবি করেন। এই গরু ছাড়িয়ে আনতে যত রকমের কাগজপত্র বিজিবি চেয়েছিলো সব দেখানো হয়। তবুও আমাদের গৃহপালিত গরু গুলো ফেরত পাইনি। ৮ দিন ধরে হয়রানি হয়ে কোন উপায় না পেয়ে সড়ক অবরোধ করতে বাধ্য হয়েছি।

তিনি আরও বলেন,সকাল ১০ টা থেকে দুপুর ১ টা পর্যন্ত হাইওয়ে সড়ক অবরোধ ও প্রতিবাদ করেছি।শেষ পর্যন্ত স্থানীয় রাজনৈতিক ব্যক্তি ও পুলিশের অনুরোধে আমরা অবরোধ তুলে নিয়েছি।তবে আমাদের গরু এখনো ফেরত পাইনি।
স্হানীয়রা দাবী করেন এই ৪ টি গরুর মালিক
হলেন টেকনাফের হোয়াইক্যং লম্বাবিলের মো. কালুর ছেলে আবদুর রহিম ও একই গ্রামের মৃত ওলা মিয়ার ছেলে ফজল করিম,
আব্দুর রহিমের ছেলে জসিম উদ্দিন ও হাসান আলীর ছেলে মো. শফিউল্লাহ।

এ ব্যাপারে টেকনাফ ২ বিজিবি ব্যাটালিয়নের দায়িত্বরত অধিনায়কের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে কোন বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

টেকনাফের হোয়াইক্যং পুলিশ ফাঁড়ি ইনচার্জ এসআই মো. মোজাহার হোসেন বলেন, কক্সবাজার-টেকনাফ হাইওয়ে সড়ক, হোয়াইক্যং বাজারের সড়ক অবরোধ ও দীর্ঘ শতশত গাড়ি আটকা পড়ে যানজট সৃষ্টির খবর পেলে পুলিশের টিম ঘটনাস্থলে পৌঁছে অবরোধ কারীদের সঙ্গে কথা বলা হয়।তাদের কথা শুনে পরে স্থানীয় রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গদের সহযোগিতায় সড়ক থেকে অবরোধ তুলে নেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়। পরে যানজট স্বাভাবিক হয়ে যায়।


সম্পর্কিত খবর