হ্নীলা সীমান্তে মাফিয়া ডন মঈন উদ্দীনের নেতৃত্বে চলছে মানব ও মাদক পাচার
মোঃ আশেক উল্লাহ ফারুকী,টেকনাফ
দেশে রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের পর হ্নীলা মৌলভী বাজার পয়েন্টে একটি শক্তিশালী মানব, চোরাচালানী ও মাদক পাচারকারী সিন্ডিকেট সক্রিয় হয়ে উঠেছে। এদের দমনের জন্য সীমান্ত রক্ষী বাহিনীসহ আইন প্রয়োগকারী সংস্থার উর্ধ্বতন মহলের কঠোর হস্তক্ষেপ প্রয়োজন।
সরেজমিন ও তথ্যানুসন্ধানে জানা যায়, গত ১৯নভেম্বর ভোরে হ্নীলা উত্তর মৌলভী বাজার পরিদর্শনে দেখা যায় মানব পাচারকারী চক্রের কতিপয় সদস্য অনুপ্রবেশকারী রোহিঙ্গা নারী-পুরুষদের নির্দিষ্ট ক্যাম্পে যাওয়ার জন্য যানবাহনে তুলে দিচ্ছে।
স্থানীয়দের তথ্যমতে অর্থাৎ বর্তমানে মুজিববর্ষ পল্লী তথা ২০গইজ্যা পাড়ার বাসিন্দা সাবেক মৌলভী বাজার সাইট পাড়ার মৃত মোহাম্মদ আলী ওরফে মধুর পুত্র মাঈন উদ্দিন, আবছার উদ্দিন, বেলাল, জনৈক জাহাঙ্গীর, উত্তর পাড়ার মৃত আবুল বশরের পুত্র নুরুল আমিন ওরফে পুতিয়া, মুসলিম পাড়ার মৃত ছিদ্দিক আহমদের পুত্র মোহাম্মদ আলী, শামসুল আলমের পুত্র জাহাঙ্গীর আলম, মধ্যম মুসলিম পাড়ার মোহাম্মদ জোহার, মীর কাশেমের পুত্র মোহাম্মদ নুরসহ ২০/২৫জনের শক্তিশালী সিন্ডিকেট ওপারের দালালদের সাথে মোটাংকের বিনিময়ে চুক্তি করে ২৪ ৃনভেম্বর রাতের প্রথম প্রহর ১টারদিকে রোহিঙ্গাদের অনুপ্রবেশ করে মওজুদের পর ভোরে নিতে আসা স্বজন ও বিভিন্ন ক্যাম্পে প্রেরণের উদ্দেশ্যে যানবাহনে তুলে দিয়েছে।
স্থানীয়দের তথ্যমতে, এই কথিত মাফিয়া ডন মাঈনুদ্দিন বিভিন্ন কৌশলের আশ্রয় নিয়ে মায়ানমার সীমান্তের দূষ্কৃতকারী মাষ্টার মুন্না ও কালা পুতুদের সাথে বৈবাহিক সুত্রে আত্নীয়তার সম্পর্ক আর বিহিঙ্গী জাল বসানোর অঘোষিত ঠিকাদার হিসেবে তার গ্রুপে থাকা অন্যান্য সদস্যদের ব্যবহার করে স্থানীয় একটি প্রভাবশালী মহলের যোগসাজশে সীমান্তে এই অপতৎপরতা চালিয়ে আসছে।
এই ছাড়া হ্নীলা হোয়াব্রাং সীমান্তেও একটি শক্তিশালী চক্র কৌশলে নানা অপতৎপরতা শুরু করেছে বলে স্থানীয় সুত্রে প্রকাশ করেছে।
ওপারে আবারো অঘোষিত জাতিগত প্রতিহিংসার শিকার হয়ে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গারা সাথে স্বর্ণালংকার, মাদকের চালান ও অবৈধ অস্ত্রাদি নিয়ে আসছে বলে একাধিক সুত্রের দাবী। যা গত প্রায় ৩মাসে আইন-শৃংখলা বাহিনীর অভিযানে স্পষ্টই প্রমাণিত হয়েছে। তাই এসব অপরাধীদের দমন করে শান্তিপূর্ণ পরিবেশ ফিরিয়ে আনার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কঠোর হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন সচেতন মহল।