বুধবার , ২৭শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

অপরাধ

ধারাবাহিক প্রতিবেদন -৩ : বাহারছড়া সাগর উপকূলে তমজিদ বাহিনী মানব ও মাদক পাচারের নাটের গুরু 

ধারাবাহিক প্রতিবেদন-৩ :
বাহারছড়া সাগর উপকূলে তমজিদ বাহিনী মানব ও মাদক পাচারের নাটের গুরু 

মোঃ আশেক উল্লাহ ফারুকী,টেকনাফ:

সাগর উপকূল মানব ও মাদক পাচারের নিরাপদ নৌপথ নোয়াখালী পাড়া হিসাবে আলোচিত। বাহারছড়া ইউনিয়নটি লম্বা দীর্ঘ উত্তর ও দক্ষিণ ১৮ কিলোমিটার। ভৌগলিক দিক থেকে এর পশ্চিমে বিস্তীর্ণ বঙ্গোপসাগর এবং উত্তর দক্ষিণ টেকনাফ ও সাবরাং এবং উখিয়া উপজেলা।পূর্বে বিস্তীর্ণ পাহাড়। শীত মওসুম ছাড়াও সাগর পথে মানব ও মাদক পাচার চলে। বাংলাদেশ-মিয়ানমার দুদেশের জলসীমার মধ্যখানে হাত বদল হয়ে মানব এবং মাদক সহ চোরাচালান বানিজ্য চলে। বিশেষ করে মৎস্যজীবী জেলের ফিসিং বোট মাদক এবং মানব পাচার কার্যক্রম চলে আসছে। সূত্র জানায়, বাহারছড়ায় যে কয়জন শীর্ষ মানব ও মাদক পাচারকারীর মধ্যে আলোচিত ৯ নং ওয়ার্ডের নোয়াখালী পাড়ার তমজিদ আহমদ,রানা ও জয়নাল সহ ৮ সদস্য বিশিষ্ট একটি সিন্ডিকেট এ কাজে দীর্ঘদিন ধরে মাদক ও মানব পাচার করে আসলে ও ওরা ধরাছোঁয়ার বাইরে থেকে যায়।  এ বাহারছড়া সাগর উপকূলীয় ইউনিয়নের নোয়াখালী পাড়া ৯ নং ওয়ার্ডের তমজিদ বাহিনীর নেতৃত্বে ৮ সদস্য সিন্ডিকেট মানব ও মাদক পাচারে বেপরোয়া। সূত্র আরও জানায়,তমজিদ ও জয়নাল নামক এ দুই জন নিবন্ধনধারী মৎস্যজীবী জেলের ফিসিং বোটের মালিক হলেও  মূলত কাজ চলে মানব ও মাদক পাচার কাজে। ওরা কালোটাকাও পেশিশক্তির মালিক বনে যাওয়ায় ওদের অপকর্মের বিরুদ্ধে কৈউ মুখ খোলতে সাহস করেনা। এলাকায় ওদের চলে আধিপত্য ও একনায়ক তন্ত্র। সম্প্রতি মিয়ানমার থেকে মানব পাচার বোঝাই ফিসিং বোট সাগর দিয়ে বাহারছড়া নোয়াখালী পাড়া সাগর সৈকতের তীরে প্রচন্ড তরঙ্গে আঘাতে গভীর রাতে  ফিসিং বোটটি ডুবে গেলে এক রোহিঙ্গা নারী মারা যায়। ঐ রোহিঙ্গা নারীকে তমজিদ বাহিনীর লোকেরা গোপনে সাগর উপকূলে দাপন করে।পরবর্তীতে অভিযোগের কারণে ঐ নারীকে উত্তোলন করা হয়। এ নিয়ে টেকনাফ উপজেলা মাসিক আইন শৃংখলা কমিটির সভায় উৎপাদিত  হয়। এদিকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সাগর পথে মানব ও মাদক পাচার বিষয়ে অভিযোগ করা হয়, স্থানীয় চেয়ারম্যান এবং ইউপি সদস্যদে ভূমিকা নিয়ে নানা প্রশ্ন উঠেছে। এ নিয়ে এলাকায় ওদের বিরুদ্ধে আলোচনা ও সমালোচনার ঝড় উঠেছে।
চলবে ———-


সম্পর্কিত খবর